ভারতবর্ষের খ্যাতনামা শিল্পপতি তথা শ্রেষ্ঠ ধন কুবের গৌতম আদানি (Adani Group Of Companies)। সারা ভারতবর্ষে জালের মতো ব্যবসা বিছিয়েছে আদানি। প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে আদানি গ্রুপের উপস্থিতি লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে। তবে সম্প্রতি চাপের মুখে শিল্পপতি গৌতম আদানি। গুরুতর সমস্যার মুখে আদানি গ্রুপ। সমস্যার কারণ হলো মার্কেট রেগুলেটর SEBI (Securities and Exchange Board of India)-এর কড়া পদক্ষেপ। যার ফলে কার্যত চিন্তার ভাঁজ আদানির কপালে।
Adani Group Of Companies List
সম্প্রতি সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) এর তরফে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, সেখানে (Adani Group Of Companies) আদানি গ্রুপের ছয়টি কোম্পানি কে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্ন করা হয়েছে, শেয়ার বাজারে তালিকা ভুক্তির নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে। আদানি গ্রুপের ছয়টি কোম্পানি বর্তমানে প্রশ্নের সম্মুখীন।
কোম্পানি গুলিকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে এসইবিআই (SEBI)। যা জানা যাচ্ছে, আদানি গ্রুপের (Adani Group Of Companies) সংস্থা গুলিকে রিলেটেড পার্টি ট্রানজাকশনের নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।সাধারণত এমন কোম্পানির মধ্যে রিলেটেড পার্টি ট্রানজেকশন হয় যেগুলির প্রতিশ্রুতি প্রায় সমান।
যাদের মধ্যে একটি পূর্ব বিদ্যমান ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আদানি গ্রুপের (Adani Group Of Companies) ছয়টি সংস্থা এই নোটিশ পেয়েছে। সংস্থাগুলি হলো- আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি ও আদানি এন্টারপ্রাইজেস (এই সংস্থা গুলি পেয়েছে দুটি নোটিশ)। এছাড়া, এসইবিআই-এর তরফে কড়া অ্যাকশনের মুখে নোটিশ পেয়েছে আদানি পোর্টস।
স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি এনার্জি সলিউশনস, আদানি উইলমার এবং আদানি টোটাল গ্যাস। সূত্রের খবর, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) এর নোটিশ আদানি গ্রুপের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে।
এসইবিআই কোম্পানিগুলির কাছ থেকে লেনদেনের হিসেব চেয়েছে। যা কিনা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির আর্থিক বিবৃতিতে প্রতিফলিত হয়নি। সংস্থার আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, এসইবিআই-এর পদক্ষেপের ফলে সংস্থাগুলি বেশ সমস্যার মুখে পড়তে পারে।
ফলে আদানি গ্রুপের (Adani Group Of Companies) ওপর নোটিশের গুরুতর প্রভাব পড়তে চলেছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, গত বছর আমেরিকান শর্ট সেলার কোম্পানি হিন্ডেনবার্গ যে রিসার্চ রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, সেই রিসার্চ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (এসইবিআই)। গত বছরের আগস্ট মাসে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল তারা।
এলআইসিতে বিনিয়োগ করছেন? আগে সতর্ক হন! বিমার নামে ফাঁদ পেতেছে জালিয়াতরা।
সেই রিপোর্ট থেকে জানা যায়, SEBI-র তরফে মোট সতেরোটি রিলেটেড পার্টি ট্রানজাকশনের উপর তদন্ত করা হয়েছিল। মূলত সেই সকল সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে যেগুলি আমেরিকান শর্ট সেলার কোম্পানি হিন্ডেনবার্গ এর রিপোর্টে উদ্ধৃত ছিল।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন গৌতম আদানি। তবে এসইবিআই নোটিশের ফলে আপাতত সমস্যায় আদানি গ্রুপ। পদক্ষেপের হাত থেকে কিভাবে রেহাই মিলবে, সে উত্তর সময়ের অপেক্ষা।