পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে (qr code attendance system) এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তবে আমরা জানি বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে বিগত কয়েক বছরে। রাজ্যে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চাইছে। আর সেই কারণে শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নিত্য নতুন নিয়ম বসানো হচ্ছে। নতুন নিয়মে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকেরা। তবে শুধুমাত্র রাজ্য সরকার যে নিয়ম লাগু করছে তা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের তরফে একঝাঁক নতুন নিয়ম হাজির করা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে নতুন প্রযুক্তি।
Qr Code Attendance System Project
পরীক্ষা পদ্ধতি, খাতা দেখা বা বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন, সমস্ত ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এবার স্কুলের হাজিরার ক্ষেত্রে চলে এল নতুন নিয়ম। পড়ুয়াদের মতো স্কুলের শিক্ষকদেরও এই (qr code attendance system) কিউআর কোডে এটেনডেন্স দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায় স্কুলে হাজিরার নাম করে স্কুল পলায়ন হচ্ছে বহু পড়ুয়া। যা ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাদের ভবিষ্যৎ। এদিকে হাজার পাহারা সত্বেও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আটকে রাখা যাচ্ছে না। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই স্কুল পলায়ন করছেন অনেকেই।
আর তাই অভিনব এক পন্থা গ্রহণ করলো রাজ্যের একটি খ্যাতনামা বিদ্যালয়। ঠিক কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই বিদ্যালয়ে? সূত্রের খবর কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে চালু করা হয়েছে (Qr Code Attendance System) কিউআর (QR) কোড স্ক্যানার। তবে এতদিন এটি শুধুমাত্র পড়ুয়াদের জন্য ছিল।
ব্লকে ব্লকে তৈরি হবে VIP সরকারি স্কুল! দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে কেন্দ্রের নতুন পদক্ষেপ।
এবার থেকে একই নিয়ম চালু হয়েছে শিক্ষকদের জন্য। পড়ুয়াদের মতই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ডিজিটাল নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। যা জানা যাচ্ছে, এবার থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরাও এই (Qr Code Attendance System) কোডে অ্যাটেনডেন্ট দিতে হবে।
সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে এই (Qr Code Attendance System) কিউআরকোড (QR) অ্যাটেনডেন্স চালু করে যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। মার্চ মাসের শেষের দিকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল স্কুলে। আপাতত স্কুলে সাতটি মোবাইল স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
যদিও পনেরোটি মোবাইল স্ক্যানার বসানোর ভাবনা রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। এই স্কুলের প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য যে আই কার্ড রয়েছে, সেই আই কার্ডের পিছনের দিকে কিউ আরকোড যুক্ত করা রয়েছে। কার্ডটি মোবাইল স্ক্যানারের সামনে বসিয়ে স্ক্যান করে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয়।
এই পদ্ধতিতে যেমন বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় উপস্থিতি বোঝানো হবে, তেমনি অ্যাপের মাধ্যমে অভিভাবকের কাছে মেসেজ চলে যাবে। পড়ুয়ারা ছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের জন্য লাগু হয়েছে একই নিয়ম। তাদের আই কার্ডেও যুক্ত করা হয়েছে কিউআর কোড।
বাম আমলের 85 দিনের ছুটি ফিরিয়ে আনার দাবি জানালো সমস্ত স্কুলের শিক্ষকরা। গরমের ছুটি আরও বাড়তে পারে।
ক্যানারে সেই কোড স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। গোটা পদ্ধতিটি যথেষ্ট অভিনব। বিদ্যালয়ে এই পদ্ধতির তত্ত্বাবধানে আছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে বিদ্যালয়ের তরফে থেকে জানানো হয়েছে।
এতদিন এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা (Qr Code Attendance System) কিউআর কোড স্ক্যান করে অ্যাটেনডেন্স দিচ্ছিলেন। এখন থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও একইভাবে উপস্থিতি জানান দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছেন। আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনে রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়েও এই পদ্ধতিতে অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হবে।