পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত হচ্ছেই না। একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ দানা বাচ্ছে নিয়োগকে কেন্দ্র করে। প্রাইমারি টিচার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বহু গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসছে। বেনিয়মের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ। যথারীতি বছরের পর বছর ধরে নিয়োগ পাওয়ার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগে সুফল মিলছে না, বহু চাকরিপ্রার্থীর বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।
WBBPE Primary TET Scam New Update on Calcutta High Court
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary TET) নতুন প্যানেলেও দেখা গেল বেনিয়ম! রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। প্রতিবছর রাজ্যে প্রাইমারি টেট পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। তবে টেট পরীক্ষায় পাশের পর নতুন করে নিয়োগের সুখবর পাচ্ছেন না চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীরা।
এর আগেও বহুবার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে (Primary TET)দুর্নীতির কারণে আদালতে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। সেই মামলা বছরের পর বছর ধরে চলছে। কোন নির্দিষ্ট রায় না আসার কারণে, আদালতের জটিলতায় আরো পিছিয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রাইমারি শিক্ষক হতে যাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা আদৌ কবে নিয়োগ পাবেন তা এখনো জানেন না তারা।
সমস্ত ছুটি বাতিল হলো রাজ্য সরকারি কর্মীদের! নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ছুটি নিলেই মহাবিপাকে পড়বেন।
এরই মধ্যে নতুন প্যানেলে বেনিয়মের অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালো। ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) প্যানেলে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নতুন নিয়োগ প্যানেলে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থী তরুণ তরুণীরা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ এর অভিযোগে।
সরাসরি অভিযোগ উঠছে যে, এই প্যানেলে অপেক্ষাকৃত বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা নিয়োগ পাননি। অন্যদিকে যারা চাকরি পেয়েছেন তারা উক্ত প্রার্থীদের তুলনায় কোন নম্বর পেয়েছেন। ২০০৯ সালে মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং হাওড়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সেই প্যানেল পরবর্তীকালে বাতিল করেছে বর্তমান সরকার। এই নিয়োগের পরীক্ষা (Primary TET) পুনরায় আয়োজিত হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু হাইকোর্টে মামলা হওয়ার কারণে প্যানেল প্রকাশ আটকে যায়। এরপর মামলাটি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো।
২০২১ সাল নাগদ কলকাতা হাইকোর্টের (Primary TET) বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী সংশ্লিষ্ট চার জেলার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে এবং সেখানে স্বজন পোষণ হয়েছে বলে ফের আদালতে মামলা দায়ের করে চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয়।
প্রাইমারি টেট নিয়ে নতুন নির্দেশনা! কাউন্সিলিং হওয়া শিক্ষকদের নতুন কী নোটিশ জারি করল?
মামলার শুনানিতে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে যে, মালদহ জেলার ১৩০০ টি শূন্যপদের ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল দেড়গুন প্যানেল (Primary TET) তৈরি করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে সেটা হয়নি।
মালদহ ছাড়া অন্যান্য জেলাগুলিতেও একই অবস্থা। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা (Primary TET) পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৫শে এপ্রিল এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয় লিখিত আকারে বক্তব্য পেশ করতে হবে।