রাজ্য সরকার জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে। রাজ্যবাসীর কাছে যে Ration Card বা রেশন কার্ড রয়েছে, সেই রেশন কার্ডের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য পান। সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষদের জন্যই রেশন কার্ডের সুবিধা রয়েছে। তবে শুধুমাত্র খাদ্যশস্য সংগ্রহ নয় রাজ্যবাসীর কাছে রেশন কার্ড (Ration Card) বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে বিবেচিত। আর সেই রেশন কার্ডের উপরেই ইডির নজরদারি শুরু হল।
WBPDS Ration Card Scam Check ED in Bengal
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির আভাস মিলেছে। দুর্নীতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছেন মানুষ। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে একসময় তোলপাড় হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। রেশন দুর্নীতির জল গড়ায় অনেক দূর। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Ration Card).
গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রেহমান-সহ আরও অনেকেই। সেই দুর্নীতির তদন্ত শেষ হয়নি এখনো। বলাই বাহুল্য সেই তদন্ত এখনো চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই রাজ্যের রেশন কার্ডগুলির খোঁজ করছে খাদ্য দপ্তর। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, মামলার প্রয়োজনেই নাকি রেশন কার্ড গুলির খোঁজ করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিরাট আপডেট! দাঁড়িপাল্লায় যোগ্য, অযোগ্যের বিচার! ভাগ্য পরীক্ষা 16th জুলাই
যদিও বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন রাজ্যবাসী। অনেকের মনে প্রশ্ন আবার কি নতুন করে দুর্নীতির গন্ধ পেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর তরফে খাদ্য দপ্তরের কাছে এসে পৌঁছেছে একটি চিঠি। যে চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের অ্যাক্টিভ রেশন কার্ড বা চালু রেশন কার্ড কোনগুলি রয়েছে।
এমন কত গুলি Ration Card বা রেশন কার্ড রয়েছে যেগুলি থেকে নিয়মিত রেশন তোলা হয়? এমন চালু থাকা রেশন কার্ডের সংখ্যা জানতে চেয়েছে ইডি। এখানেই শেষ নয়, ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালের আগে কতগুলি রেশন কার্ড ছিল, এবং ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে কতগুলি রেশন কার্ড রয়েছে।
অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর রেশন কার্ডের ওপর কড়া নজরদারি শুরু করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এছাড়া ইডির তরফে প্রশ্ন করা হয়েছে, যে বাংলায় Ration Card বা রেশন কার্ড ডিজিটালাইজ়ড হওয়ার সময় মোট কত রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে? খাদ্য দপ্তরের কাছে ইডির যে চিঠি গিয়ে পৌঁছেছে, তার সঠিক জবাব মেলেনি এখনও।
চিঠির জবাব না আসার কারণে নতুন করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু কেন হঠাৎ করে Ration Card বা রেশন কার্ডের ওপর তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? ইডির তরফে জানানো হচ্ছে, রেশন দুর্নীতিতে রেশন কার্ডের মাধ্যমে কোন দুর্নীতি হয়েছে নাকি তার খোঁজ চালানোই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার লক্ষ্য হয়েছে।
রান্নার গ্যাসের খরচ 100 টাকা কমে গেল! এইভাবে বুকিং করলে সুবিধা পাবেন
সূত্রের খবর, বাংলায় বহু ভুয়ো রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। এবার সেই সমস্ত Ration Card বা রেশন কার্ডগুলিকে খোঁজার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বাংলায় যদি ভুয়ো রেশন কার্ডের খোঁজ পাওয়া যায় তবে তার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটপর্বে জোরদার টক্কর চলছে দেশজুড়ে। তবে ভোটের আগে Ration Card বা রেশন কার্ড দুর্নীতি কান্ডে বেসামাল দশা পশ্চিমবঙ্গের। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্ত চলছে আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে মামলার জল। মামলার রায়ের অপেক্ষায় দিন গুনছেন সবাই।