মহাকাশের নীল গ্রহ, যার তিন ভাগ জল ও এক ভাগ স্থল (Earth Water Percentage) এমন একটা গ্রহে বসবাস করি আমরা। তিন ভাগ জল থাকার দরুণ মহাকাশে নীল দেখায় আমাদের পৃথিবীকে। জন্মের পর থেকে হাজারো পরিবর্তন ডিঙিয়ে এসেছে পৃথিবী। বর্তমানেও চলছে নীল গ্রহের ভাঙাগড়ার খেলা। তবে মানুষ ও তার কার্যকলাপের জন্য বিপদের সম্মুখীন নীল গ্রহ। ভয়ংকর অবস্থা আমাদের পৃথিবীর। হেলে গিয়েছে পূর্ব দিকে। কি হতে চলেছে? আশঙ্কার কারণ মানুষের জন্য?
How Much Earth Water Percentage on Drinking Water
আমাদের এই পৃথিবী জন্মের পর থেকে আমাদের জলের যোগান দিয়ে এসেছে। কিন্তু মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং সেই চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে সমূহ বিপদের মুখে গ্রহটি। ক্রমবর্ধমান জলদূষণ পরিবেশবিদদের চিন্তার কারণ হয়েছে। জল দূষণ কমার বদলে বেড়ে যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত জল উত্তোলন হচ্ছে মাটির তলা থেকে (Earth Water Percentage).
সবমিলিয়ে পৃথিবীতে জল পরিস্থিতি ভয়ানক। বহু অঞ্চলে জল টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ভারতবর্ষের বড় বড় শহর গুলোর চিত্র প্রায়শই চোখের সামনে আসছে। জল এমন একটা জিনিস যা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। জল ছাড়া জীবের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। মরুভূমি অঞ্চলে মানুষ কে অনেক সংগ্রাম করে পান করার যোগ্য জল জোগাড় করতে হয় (Earth Water Percentage).
ধীরে ধীরে পৃথিবীর বড় শহর গুলিতে জলকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করছে। সম্প্রতি গবেষকরা এমন কিছু তথ্য দিয়েছে যা শোনার পর কার্যত কপালে ভাঁজ পড়েছে সবার। সারা পৃথিবী থেকে অত্যাধিক হারে জল উত্তোলন বড়সড় প্রভাব ফেলছে নীল গ্রহে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে (Earth Water Percentage).
বাংলায় এই ধান চাষে বিপুল লাভ! বিনা পয়সায় চাষ! হাতে আসবে হাজার হাজার টাকা, জেনে নিন বিস্তারিত
তারা বলছেন, অত্যাধিক হারে জল উত্তোলন আগামী দিনে ভয়ংকর পরিণতি আনতে চলেছে। আশঙ্কা তাড়া করছে আমাদের শহর কলকাতাকেও। অতি সম্প্রতি একটি রিপোর্টে মানুষের কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিণতি প্রকাশ্যে এসেছে। Citec ডেইলির একটি প্রতিবেদনে তারই সাম্প্রতিক চিত্র উঠে এসেছে (Earth Water Percentage).
বিজ্ঞানীদের রিপোর্টে কি বলা হয়েছে?
আমরা জানি সারা বিশ্বের প্রচুর পরিমাণে ভৌম জল তোলা হচ্ছে। পান করা ছাড়াও, কৃষিকাজ থেকে অন্যান্য ক্ষেত্র সর্বত্র ভৌমজলের কদর বেড়েছে। আমাদের ভুঅভ্যন্তরে প্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্যে ভৌমজল থাকে। অত্যাধিক হারে ভৌম জল উত্তোলন পৃথিবীর ব্যালেন্সে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আগেই এই বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
এবার একটি চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য প্রকাশ্যে এলো। সারা পৃথিবীতে প্রচুর পরিমানে ভৌমজল উত্তোলন হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ জল পাম্পিং করে বের করে নেওয়া হচ্ছে। আর এর পরিণতি কি হচ্ছে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে পৃথিবী দুই দশকেরও (Earth Water Percentage) কম সময়ে ৪.৩৬ সেমি / বছর গতিতে প্রায় ৮০ সেন্টি মিটার পূর্ব দিকে হেলে গিয়েছে!
সংশ্লিষ্ট গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে। রিসার্চ রিপোর্টটি সামনে আসায় চিন্তার কারণ হয়েছে সারা বিশ্বের। তবুও আজও মানুষ সচেতন নয়। সচেতনতার অভাবে আমাদের গ্রহ আরো সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে দিনকে দিন (Earth Water Percentage).
এসি ও কুলার ছাড়াই গরমে থাকুন আইস কুল! বাড়িতে আনুন এই সস্তার জিনিস, গরমে আর চিন্তাই নেই!
সারা পৃথিবীর জন্য চিন্তার কারণ!
এখানেই শেষ নয়, অতীতে জলবায়ু মডেলের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা অনুমান করে যে, ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সালের মেয়াদের মধ্যে মানুষ প্রায় ২,১৫০ গিগাটন ভূগর্ভস্থ জল পাম্প করে বের করে নিয়েছে। যা প্রায় সমান ছিল ছয় সেমি সমুদ্র পৃষ্ঠ বৃদ্ধির (Earth Water Percentage).
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান হারে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ হ্রাস গুরুতর প্রভাব ফেলে পৃথিবীর রোটেশনাল পোলের ওপর। এছাড়া, এর প্রভাব পড়ছে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির উপরেও এবং সারা পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুতেও এই ঘটনার প্রভাব বর্তমান (Earth Water Percentage).