এবার পশ্চিমবঙ্গের সকল কৃষক কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। এই Krishak Bandhu বা কৃষক বন্ধু ফর্ম জমা করলেই পাওয়া যাবে টাকা। আপনি যদি একজন পশ্চিম বঙ্গের নাগরিক হন, তাহলে এই সুযোগ টি আপনার জন্য। তবে আপনাকে একজন কৃষক হতে হবে। এখনও পর্যন্ত যদি আপনার নাম কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত না করেন তাহলে আজকের এই সমাচারটি আপনারই জন্যে।
Payment Update for West Bengal Krishak Bandhu Scheme
জানা গেছে এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গের সকল Indian farmers বা কৃষকদের ব্যাঙ্কে প্রতি মাসে প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে। এই প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকার Krishak Bandhu বা কৃষক বন্ধুর অধিনে থাকা সকল কৃষকদের জন্যে একটি বড়ো ঘোষনা করলেন।
রাজ্য সরকার এবার রাজ্যের সকল কৃষক শ্রমিক দের জন্য পেনশন পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। এবার থেকে রাজ্য সরকার কৃষক বন্ধু অথবা Krishak Bandhu প্রকল্পের দ্বারা নাম নথিভুক্ত করা রাজ্যের সকল কৃষকদের দেবে অতিরিক্ত পেনশন।
যেমন ধরুন রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিকরা বার্ধক্য ভাতা বা old-age pension পান তেমনই এটি একটি স্কিম। শুধু মাত্র কৃষকদের জন্য, এর মাধ্যমে সরকার আপনাকে প্রত্যেক মাসে ১000 টাকা করে দেবে। তবে তার জন্য আপনার বয়স হবে হবে ৬০ বছরে উর্ধ্বে।
আগামী লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্র সরকার সকলেই রাজ্যের কৃষকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা ঘোষনা করেছেন। এই জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার পিছিয়ে না থেকে রাজ্যের কৃষকদের জন্য এই Krishak Bandhu বা কৃষক বন্ধু প্রকল্প যোজনা টির ঘোষণা করলেন।
এই Krishak Bandhu প্রকল্পটির সুবিধা সকল শ্রেণির কৃষক কর্মীরা পেতে পারেন, যেমন আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণি, সাধারণ শ্রেণী, তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণি কৃষকরা কেউ বঞ্চিত থাকবে না।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প আবেদনের প্রক্রিয়া (Scheme apply prosess for Krishak Bandhu)
প্রথমে স্থানীয় একটি ব্লকের দ্বারা কৃষি অধিকর্তা অথবা জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা ওই অফিসটি থেকে কৃষক বন্ধু পেনশন প্রকল্পের একটি ফর্ম নিতে হবে। তারপরে ওই ফর্মটিতে যা যা থাকবে সেই সব তথ্য দিয়ে সঠিক ভাবে ফর্মটি পুরন করুন।
এরপর সেই ফর্মটিতে কয়েক জনের স্বাক্ষর করাতে হবে। যেমন – আপনার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষর, প্রঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বাক্ষর, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক মহাশয়ের স্বাক্ষর, এবং ভূমি দপ্তরের রেভিনিউ অফিসারের স্বাক্ষর প্রভৃতি।
তারপর ফর্মটিতে নিজের বা কৃষক টির কয়েকটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগাতে হবে আর আবেদনকারীকে ফর্মটিতে নিজের সাক্ষর করতে হবে। ৫ ফর্মটিতে যা যা প্রয়োজনীয় সব নথি এক কপি করে জেরক্স করে ফর্ম এর সাথে একত্রিত করে স্থানীয় ব্লগের অফিসে জমা করে দিতে হবে। কৃষক বন্ধু প্রকল্প আবেদনকারীর প্রমাণ পত্র হিসাবে যেগুলি জমা দিতে হবে সেগুলি হল-
- কৃষকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কৃষকের আধার কার্ড থাকতে হবে। (Aadhaar Card)
- কৃষকের ভোটার কার্ড থাকতে হবে (Voter ID Card)
- কৃষকটি যদি শারীরিকভাবে অক্ষম হয় তাহলে তার প্রমাণ পত্র লাগবে
- কৃষকের কাস্ট সার্টিফিকেট (Caste Certificate)
- নিজস্ব জমির তথ্যের প্রমাণ পত্র লাগবে
এবং সর্বশেষ ব্যাংকের পাস বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স। এছাড়াও Krishak Bandhu বা কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করার জন্য, আপনার আরও কিছু দরকারী নথিপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদনের নির্ণায়ক (Krishak Bandhu Scheme Apply Criteria)
যারা এই Krishak Bandhu বা কৃষকবন্ধু প্রকল্পটি আবেদন করবেন তারা আর অন্য কোনো প্রকল্প বা স্কিমের সুবিধা পাবেন না।
কৃষকটি বা প্রার্থীটি যদি বর্গাদার হন তবে তার জমির সর্বোচ্চ পরিমাণ দুই একরের মধ্যে হতে হবে। কৃষকদের বয়স অবশ্যই ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। যদি কৃষকেটি শারীরিকভাবে অক্ষমতা থাকে তাহলে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পটি আবেদন করাতে পারবে।
কৃষক কে অন্তত ১০ বছর এই রাজ্যের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কৃষক টির যদি কোনো নিকটও বর্তী আত্মীয় না থাকে বা দেখভাল করার কেউ না থাকে, তাহলে এই কৃষকরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। অন্তত ১ একরের বেশি জমি থাকতে হবে এটি আবেদন করার জন্য।
কৃষক কে অন্তত ১০ বছর এই রাজ্যের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কৃষক টির যদি কোনো নিকটও বর্তী আত্মীয় না থাকে বা দেখভাল করার কেউ না থাকে, তাহলে এই কৃষকরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। অন্তত ১ একরের বেশি জমি থাকতে হবে এটি আবেদন করার জন্য।
এই ধরনের নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদের পেজটি ফলো করুন।