পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের কপালে ভাঁজ। নতুন নিয়ম জারি করল অর্থ দপ্তর। নববর্ষ আসার মুখে নতুন নিয়মের (Employees Provident Fund Organisation) বৃত্তান্ত শুনে রীতিমতো চিন্তিত রাজ্য সরকারি কর্মীরা। দিন কয়েক আগেই শুরু হয়েছে নতুন ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ। ৩১ শে মার্চ গত অর্থবর্ষ শেষ হতে নতুন অর্থবছর শুরু হল। আর নতুন অর্থবছর শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থ দপ্তর। আর এই বিজ্ঞপ্তি দেখে রীতিমতো চিন্তিত রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
Employees Provident Fund Organisation Rules Update
সম্প্রতি অর্থ দপ্তরের তরফে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) নিয়ে (Employees Provident Fund Organisation) একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর। জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড সম্পর্কিত এই বিজ্ঞপ্তিটি বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এবার থেকে রাজ্য সরকারি কোনো কর্মী জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ (Employees Provident Fund Organisation) অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকার বেশি জমা করতে পারবেন না। এবার থেকে রাজ্য সরকারের অন্তর্গত কোন সরকারি কর্মী জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন।
সাধারণত সরকারি দপ্তরে কর্মরতরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (Employees Provident Fund Organisation নিজেদের যে বেসিক বেতন তার ছয় শতাংশ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারেন। তবে নিয়মের অপব্যবহার করেন অনেকেই। জানা যায়, নির্ধারিত সীমা মানেন না অনেক সরকারি কর্মী। এই নিয়ে বেশ কিছু বছর ধরে অভিযোগ উঠছিল।
আবারও স্ক্যাম! সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA নিয়ে চলছে বিরাট কারচুপি। আদৌ টাকা মিলবে?
এমনও অভিযোগ উঠেছিল যে, বহু সরকারি কর্মী তাদের নির্ধারিত সীমার বেশি টাকা রেখেছিলেন জিপিএফ অ্যাকাউন্টে। আর এই ধরনের কাজের অন্যতম কারণ হলো জিপিএফ অ্যাকাউন্টের সুদের হার। কারণ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট এর তুলনায় জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টের সুদের হার বেশি (Employees Provident Fund Organisation).
সে কারণেই বহু সরকারি কর্মী নিয়ম অগ্রাহ্য করে নির্ধারিত সীমার বেশি টাকা জমা রাখতেন জিপিএফ অ্যাকাউন্টে। বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার যেখানে পাঁচ কি ছয় শতাংশ, সেখানে কিনা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (GPF) অ্যাকাউন্টের সুদের হার প্রায় আট শতাংশ (Employees Provident Fund Organisation).
তবে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট এর সুদ সরকারকে দিতে হয়। তদন্ত করে জানা গেছে, এই জিপিএফ অ্যাকাউন্টের সুদের হার বেশি থাকার কারণে সরকারি কর্মীরা অতিরিক্ত টাকা রাখতে আগ্রহী হচ্ছে। তবে এবার সরকারি কর্মীদের এরূপ কার্যে কড়া নিয়মের বেড়াজাল বসালো সরকার (Employees Provident Fund Organisation).
অর্থদপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হলো, পাঁচ লাখ টাকার বেশি আর কেউ অতিরিক্ত টাকা জিপিএফ একাউন্টে রাখতে পারবে না। আর নিয়মে ফাঁকি দিয়ে কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা জমা করতে চান। যদি অর্থ দপ্তরের নির্দেশ মান্য করা না হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির উপর বেশ কিছু পদক্ষেপ নেবে সরকার।
হাতে আর মাত্র কিছুদিন! এই কাজ না করলে পড়তে হবে সমস্যায়।
এদিকে সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষ থেকে GPF বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড সম্পর্কে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে চালু হচ্ছে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড পোর্টাল। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা এতদিন তাদের জিপিএফ সংক্রান্ত তথ্য জানতে স্কুলের কাছে দরবার করতেন। এবার থেকে তারা অনলাইনে সেই সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন (Employees Provident Fund Organisation).
for any information check GPF official website – click here