দেশজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহের (WBSEDCL) পরিস্থিতি। তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে অতীতের রেকর্ড। গ্রীষ্মের দাবদাহে ভুগছে দক্ষিণবঙ্গ। কোথাও কোথাও টেম্পারেচার পৌঁছে যাচ্ছে চল্লিশ -বিয়াল্লিশ ডিগ্রীতে। অত্যাধিক গরমের মধ্যে বাইরে যাওয়া তো দূর ঘরে টেকাও সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর মধ্যে ঘনঘন কারেন্ট যাওয়ার পরিস্থিতি আরো বেশি সমস্যা বাড়াচ্ছে বঙ্গবাসীর। রাতে বারবার কারেন্ট যাওয়ার কারণে ঘুম হচ্ছে না অনেকের।
No More Load Shedding in Summer Under WBSEDCL Electric Office
এবার সমস্যা দূরীকরণে কড়া নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। বিদ্যুৎ সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে আবহাওয়া এতটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে যে, বেলা দশটা গড়াতে না গড়াতেই লু বইতে শুরু করছে। সারাটা দিন তাপপ্রবাহের মধ্যে কাটছে রাজ্যবাসীর (WBSEDCL).
সারাদিন তাপপ্রবাহ চলায় তাপমাত্রার পারদ একটার পর একটা রেকর্ড ভাঙছে। এসবের মাঝে কারেন্টে যাওয়ার (Load sheading) সমস্যাতে আলাদা করে ভুক্তভোগী বঙ্গ জনতা। অনেকেই বলছেন, শুধু যে রাত তা নয়, কিছু কিছু জায়গায় দিনের বেলাতেও কারেন্ট যাওয়ার সমস্যা নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
একে তো দিনের উচ্চ তাপমাত্রা, তার মধ্যে কারেন্ট যাওয়ার (Load sheading) সমস্যা এতোটাই বেড়েছে যে টেকা দায় হয়েছে সবারই। এরকম পরিস্থিতির কারণে অসুস্থ হচ্ছেন বহু নাগরিক। সাধারণত গরম পড়তে বিদ্যুতের চাহিদা স্বাভাবিক-এর চাইতে বহুগুণ বেড়ে যায় (WBSEDCL).
নিজের ইচ্ছা থাকলেই আপনি পড়াতে পারবেন এই স্কুলে কি সর্থ রয়েছে দেখে নিন।
এর মধ্যে লোকসভা নির্বাচন চলায় নানান জায়গায় প্রচার, সভা, ইত্যাদি কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আর সেই কারণে বহু লোকালয়ের বিদ্যুৎ যাওয়ার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই সমস্যা থেকে রেহাই চাইছেন সবাই। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে।
বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ সমস্যায় যেন ভুক্তভোগী হয়ে উঠেছেন। এহেন সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সরকারের কাছে দরবার করছেন সাধারণ মানুষ। লোকসভা নির্বাচন পর্বে বিভিন্ন প্রচার সভা ইত্যাদি কারনে এবং গরম পড়তে না পড়তেই বিদ্যুতের ঘাটতি যে দেখা যাবে, তা আগে থেকেই জানতো বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি।
তার সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন রাজ্যবাসী। সমস্যা এতটাই গুরুতর ধারণ করেছে যে এবার বাধ্য হয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকারও। রাজ্যে সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে রাজ্য সরকার (WBSEDCL).
সম্প্রতি লোডশেডিং (Load sheading) সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এই বৈঠকে বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।সিইএসসিকে (CESC) সরাসরি বিদ্যুৎ মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন লোডশেডিং (Load sheading) কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
এই তীব্র গরমের মধ্যেও স্বস্তির খবর! আর যাবে না কারেন্ট। এমনটাই নির্দেশ দিলেন রাজ্য সরকার।
যাই হোক না কেন রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যা অতি দ্রত সমাধা করতে হবে। তাছাড়া এই গরমের মধ্যে যাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট না হয়, লোডশেডিং (Load sheading) সমস্যা কমে, কারিগরি বিভ্রাট কম হয় যাতে, তার জন্য সিইএসসিকে পর্যাপ্ত দক্ষ কর্মী রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তাছাড়া যদি রাজ্যের কোন প্রান্তে লোডশেডিং (Load sheading) সমস্যা দেখা দেয়, তখন সেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা দ্রুত ঠিক করার জন্য কারিগরি মোবাইল ভ্যানগুলিকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আশা করা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের পর রাজ্যে লোডশেডিং সমস্যা অনেকটাই কমবে। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন রাজ্যবাসী।
Written By Tilottama Chakraborty.