How To Become Rich – ধনী হওয়ার গোপন টিপস! বিনা পরিশ্রমে কোটিপতি হওয়ার উপায় জেনে নিন।

পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন সবাই। কিন্তু সেই অর্থ জমিয়ে আমানত (How To Become Rich) ধনী হওয়ার গোপন টিপস! বিনা পরিশ্রমে কোটিপতি হওয়ার উপায় জেনে নিন।গড়ে তোলা কঠিন। কারণ মানুষে‌র চাহিদার শেষ নেই, আর চাহিদা মানেই খরচ। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় যে বেহিসাবি খরচের ফলে একটা সময় পর সঞ্চয়ের কণা থাকে না। আবার অনেকেই আছেন যারা সঠিক ভাবে খরচ মেনটেন করে চলেন, এবং যতোটা সঞ্চয় করেন তার নিজের একটা ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সপ্ন দেখেন।

How To Become Rich by Following This Money Making Tips

আপনি যদি ব্যবসা করেন অথবা চাকরি করেন তাহলে মাসের শুরুতেই আপনার হাতে যে টাকাটা আসবে তা প্রয়োজন সাপেক্ষে রেখে বাকি টাকা সঞ্চয় করতে হবে। মনে রাখবেন আপনার সঞ্চয়ই হবে রিটায়ারমেন্ট এর পর আপনার দিনযাপনের দিশা।

সরকারি অথবা উচ্চপদস্থ বেসরকারি চাকরিতে অবসর জীবনে‌ রিটায়ারমেন্টের টাকা আসে। তবে অনেক চাকরি আর ব্যবসাতে কিন্তু অবসরকালে ভাতা পাওয়া যায় না। তখন কিন্তু নিজের সঞ্চয় দিয়েই নিজের প্রয়োজন গুলোকে মেটাতে হবে। আর তার জন্য দরকার আগের থেকেই অল্প অল্প করে টাকার সঞ্চয়(How To Become Rich)।

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন লাভ জনক স্কিম (How To Become Rich) রয়েছে। যেখানে টাকা বিনিয়োগ করলে কিন্তু ভালো রিটার্ন মিলে। তবে আপনাকে প্রথমেই বুঝতে হবে খরচ এবং সঞ্চয় এই দুটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে করতে হবে। অতিরিক্ত খরচ কিন্তু সঞ্চয়ের পথে বাধা সৃষ্টি করে।

হটাৎ টাকার প্রয়োজন! আবেদন করলেই SBI দেবে 5 লাখ টাকা

আপনি বড়লোক হয়ে উঠবেন কিভাবে?

একজন মানুষ তাঁর‌ কর্মজীবনে যে টাকা রোজগার করে, তার কতটা অংশ সে সঞ্চয় করে? নিজের সমস্ত চাহিদা পূরণ করে, তবে এবার যদি দেখা যায় কম বয়সের চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনি অতিরিক্ত টাকা খরচ করেছেন অথচ সঞ্চয় তেমন ভাবে নেই, তাহলে কিন্তু বেশ সমস্যার।

একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু তৈরি হয়। আপনি মোটেই একবারে কোটি খানেক টাকা জমাতে পারবেন না। আপনাকে এই উঁচু আমানত করে তোলার জন্য প্রত্যেক মাসে অল্প অল্প করেই জমাতে হবে। আর সেই কারণেই আপনাকে মেনে চলতে হবে ৪০-৩০-২০-১০ রুল বা (How To Become Rich)।

এই নিয়ম মানলে আপনার সঞ্চয় ভালো হবে। বয়সকালে সঞ্চয় দিয়ে ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারবেন। বলাই বাহুল্য আপনি বড়লোক হয়ে উঠতে পারেন। এখন প্রশ্ন হল, কিভাবে কাজ করে এই নিয়ম? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

LIC Kanyadan Policy বা এলআইসি কন্যাদান পলিসি

৪০-৩০-২০-১০ রুল কাজ করে কিভাবে? কিভাবে এই নিয়ম নিজের জীবনে ব্যবহার করতে পারেন?

আমরা সবাই জানি আমাদের প্রত্যেক মাসের খরচার একটা তালিকা থাকে। মাসের শুরুতেই আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে বেতন আসে সেই টাকাকে আমাদের বুঝে নিতে হবে ঠিক কোন কোন খাতে আমরা কিভাবে ব্যবহার করব। আপনি ব্যবসা অথবা চাকরি যাই করেন না কেন খরচের একটা নির্দিষ্ট হিসেব রাখতে হবে।

মনে করা যাক মাসের শুরুর দিকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে একটা ব্যালেন্স এসেছে। সেই টাকাটি ব্যবহারের জন্য আপনাকে ৪ ভাগে ভাগ করে নিতে হবে(How To Become Rich)। যার প্রথম ভাগে থাকবে সবচেয়ে দরকারি বিষয়গুলি। যেমন বাড়িভাড়া, সংসারের খরচ, সন্তানের শিক্ষা বাবদ খরচ, ঋণ, রেশন, অফিস যাতায়াতের খরচ এ বিষয়গুলি দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার বেতনের ৪০ শতাংশ ব্যয় করুন এই খরচগুলির ক্ষেত্রে। মানুষের জীবনে বিনোদন প্রয়োজন। ‌মাসে একটু ঘুরতে যাওয়া, কেনাকাটা, পছন্দের জিনিস কেনা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি। ‌ আপনার বেতনের ৩০ শতাংশ খরচ করুন মাসিক বিনোদনের জন্য।

হটাৎ টাকার প্রয়োজন! আবেদন করলেই SBI দেবে 5 লাখ টাকা

এই জায়গা থেকেই আপনাকে বুঝতে হবে বিনোদনের জন্য যেন অতিরিক্ত খরচ না হয়। এই খাতে কিন্তু আপনাকে লাগাম টানতে হবে। এরপর আসছে ঋণ, ধার পরিশোধ। ‌যাদের ধার রয়েছে তাঁরা বেতনের কুড়ি শতাংশ দিয়ে সেই ধার শোধ করতে পারেন। বেতনের কুড়ি শতাংশ খরচ করলেই ঋণ ধারের কিছুটা করে শোধ করা সম্ভব।

আগের তিন খাতের খরচের পর আপনার হাতে থাকছে আরো দশ শতাংশ। এই দশ শতাংশ অর্থ সঞ্চয় করুন। প্রতিমাসে একটু একটু করে সঞ্চয় (How To Become Rich)। করলে অবসরের সময় একটা বড় আমানত হাতে পাবেন। দশ শতাংশ অর্থ ব্যাংক অথবা লাভজনক স্কিমে সঞ্চয় করুন। দেখবেন, একটা সময় পর আপনার সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ যথেষ্ট ভালো হবে। আর অবসর জীবন কালে আপনি হেসেখেলে কাটাতে পারবেন।

Leave a comment