ভারতবর্ষে নাগরিকদের জন্য Ration Card বা রেশন কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। নানান সরকারি সুযোগ -সুবিধা পাওয়ার জন্য রেশন কার্ড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। রেশন কার্ডের মাধ্যমে ভারতের আমজনতা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পান। এছাড়া পড়াশোনা কিংবা চাকরির ক্ষেত্রেও রেশন কার্ডের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে আধার কার্ডের মত রেশন কার্ডের সঙ্গেও মোবাইল নম্বর ও অন্যান্য ডকুমেন্ট লিংক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।
Migrant Workers Ration Card Should be Given whitin 3 Days
মাঝে মধ্যে Ration Card বা রেশন কার্ড নিয়ে নানান ধরনের নির্দেশ দেয় সরকার। সেই নির্দেশ মেনে কাজটি সারতে হয় আমজনতাকে। এবার ঠিক সেই রকমই একটি নির্দেশ এল। তবে নির্দেশ এল সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের তরফে। শীর্ষ আদালত রেশন কার্ড নিজে নির্দেশ পাঠিয়েছেন, তা মানতে হবে সবাইকে।
এখন প্রশ্ন হল, সুপ্রিম কোর্ট রেশন কার্ড নিয়ে ঠিক কি নির্দেশ দিয়েছে, আসুন জেনে নেওয়া যাক সে বিষয় বিস্তারিত। পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড প্রসঙ্গে এবার সরাসরি নির্দেশ এলো সুপ্রিম কোর্টের তরফে। সুপ্রিম কোর্ট মূলত ভারতবর্ষের পরিযায়ী শ্রমিক দের জন্য এই নির্দেশ পাঠিয়েছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা তাঁদের নির্দেশের মাধ্যমে জানিয়েছেন, কেওয়াইসি এর জটিলতার কথা বলে আর কাউকে Ration Card বা রেশন কার্ড থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আর সেই সূত্র ধরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রেশন কার্ডগুলি জমা দিতে হবে।
কেন্দ্র সরকার দিচ্ছে ফ্রীতে 5 লাখ টাকা! এই কার্ড থাকলেই আবেদন করুন।
অর্থাৎ তাঁদের হাতে রইল আর তিন মাস। যার মধ্যে নিজেদের Ration Card বা রেশন কার্ড অবশ্যই জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেশন কার্ডের মাধ্যমে ভারতের আমজনতা খাদ্য শস্যের সুযোগ -সুবিধা পান। বাজার দামের চাইতে তুলনামূলক কম দামে খাদ্যশস্য তুলে দেওয়া হয় তাঁদের কাছে।
রেশন কার্ডের সুবিধা ভারতবর্ষের সমস্ত অঙ্গরাজ্যেই রয়েছে। সরকার চাইছে দেশের নাগরিকদের আরও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে। এদিকে, কোভিড মহামারীর সময় সারা দেশজুড়ে এলোমেলো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর সে প্রভাব আরও বেশি করে পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে ঘোষণা করেছিল, এক দেশ এক রেশন পদ্ধতির।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে থাকলেও এবার থেকে এক Ration Card বা রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মসূত্রে ভারতবর্ষের যে রাজ্যেই থাকুক না কেন, সেই রাজ্য থেকেই খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় রেশন কার্ড থাকলেও তার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
তবে এবার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল। কোভিড অতিমারি সময় যারা নিজের কর্মস্থল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন, তাঁদের রেশন কার্ড থাকলেও খাদ্যশস্য প্রাপ্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছিলেন। তাঁরা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাননি। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ই-শ্রম পোর্টাল চালু করেছে।
দেখা যাচ্ছে, ই-শ্রম পোর্টালে ২৮৮ মিলিয়ন পরিযায়ী শ্রমিকের নাম থাকলেও তাঁদের মধ্যে ৮০ মিলিয়ন শ্রমিকেরই রেশন কার্ড নেই। এরপর সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা উঠে। গত বছরের ২০ এপ্রিল শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে ঠিক দুই মাস সময় বেঁধে দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড দেওয়ার কথা বলে।
কিন্তু সেই অনুযায়ী কাজ না হওয়ার কারনে ফের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নজরদারির আওতায় আসে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের তরফে সম্প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ঠিক তিন মাসের মধ্যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড দিতেই হবে। এক্ষেত্রে কোন কেওয়াইসি জটিলতা মানা হবে না। এবং এই কেওয়াইসির জটিলতা দেখিয়ে কোনো শ্রমিককেই বঞ্চিত করা যাবে না। এই বিষয়ে আরও জানতে এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
প্রতিনিয়ত এই ধরনের নিত্যনতুন খবর পেতে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। যাতে নতুন কোন তথ্য আপনার কাছে সবার আগে আপডেট দিতে পারি।