Primary TET – প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নতুন মোড়! সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল পর্ষদ।

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগে (Primary TET) জটিলতা অব্যাহত। অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। আদালতে নিত্য চলছে মামলা। সূত্রের খবর শিক্ষক পদে অসংখ্য শূন্যপদ থাকলেও সেই পদের নিয়োগ নিয়ে কোন উদ্যোগ নেই সরকারের তরফে। এদিকে সরকার তরফে বক্তব্য হল, আদালতের মামলা জটিলতার কারণেই নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না।

WBBPE Primary TET New Update in Calcutta High Court

এমতবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) মামলাতে এল নতুন মোড়। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল পর্ষদ। ঘটনাটি ঠিক কী? আদালতের ছাড়পত্র মেলার পর ৯,৫৩৩ শূন্যপদের শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশের পর আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। চাকরিপ্রার্থীদের মামলা শুনে সেই আবেদনে সাড়া দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতি বলেন, আগের মেধাতালিকা রেখে দিয়েই উক্ত মামলাকারী চাকরি প্রার্থীদের জন্য আলাদা একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

এ বিষয়ে বিচারপতির বক্তব্য ছিল, আগের মেধাতালিকায় যারা চাকরি পাবেন তাদের সঙ্গে নতুন মেধা তালিকার তুলনা করতে হবে। দুই তালিকার মধ্যে তুলনার পার্থক্যে যদি দেখা যায় ওই প্রার্থীরা প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের তুলনায় বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাহলে এই প্রার্থীদের জন্য আলাদা করে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে।

মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় পোস্ট অফিসে চাকরির সুযোগ। আবেদন মাত্রই চাকরি হবে।

আগে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) মামলায় বি.এড ও ডিএলএড উভয় ডিগ্রীধারী প্রার্থীরাই আবেদন জানাতে পারতেন। কিন্তু গত বছর আদালতের নির্দেশ অনুসারে, একমাত্র ডি.এল.এড ডিগ্রীধারী প্রার্থীরাই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার জন্য উপযুক্ত।

রাজ্যে বর্তমানে এমন অনেক প্রার্থী রয়েছেন, যারা বিজ্ঞপ্তি জারির আগের দিন পর্যন্ত বি.এড ও ডিএলএড দুই যোগ্যতাই ছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অনেক প্রার্থী রয়েছেন যারা ফর্ম পূরণের সময় উচ্চতর যোগ্যতা মান বিএড থাকায় ডি.এল.এড ডিগ্রির এর কথা উল্লেখ করেননি। তারা সমস্যায় পড়েছেন বলে এর আগে আদালতে দরখস্ত করেছিলেন।

WB Govt Job Recruitment - রাজ্যের সরকারি চাকরির নিয়োগ

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে প্রার্থীরা জানিয়েছেন যে, বিজ্ঞপ্তি জারির সময় তারা যদি এ বিষয়টি জানত, তাহলে সেই অনুযায়ী তারা (Primary TET) ফর্ম ফিল আপ করতেন এবং তাদের নাম অবশ্যই প্যানেলে থাকতো। আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনে সাড়া দেয়।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার চাকরিপ্রার্থীদের হয়েই পর্ষদ কে নির্দেশ দেয়। যেহেতু, এই চাকরি প্রার্থীদের বি.এড ও ডি.এল.এড উভয় ডিগ্রী রয়েছে, তাই ৯ হাজার ৫৩৩ জন প্রার্থীর প্যানেলের সঙ্গে এই প্রার্থীদের তুলনা করতে হবে বলে বিচারপতির মত। তবে আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

রাজ্যে আবারও মাধ্যমিক পাশে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা পদে একাধিক কর্মী নিয়োগ।

পর্ষদের মত, এর আগেই প্রার্থীদের ডিগ্রি আপডেট করার সুযোগ দিয়েছিল আদালত। এখন সে নতুন করে এরকম রায় জানাতে পারেনা সিঙ্গেল বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চের (Primary TET) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দরখস্ত করেছে পর্ষদ। খুব শীঘ্রই এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে মামলার জটিলতার কারণে চিন্তায় রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। ক্রমাগত সময় এগোচ্ছে ঠিকই তবে নিয়োগ নিয়ে এখনও কোনও বার্তা পাচ্ছেন না তারা। মামলার মোড় ঘুরতে ফের কবে সুখবর আসবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক (Primary TET) হতে যাওয়া চাকরিপ্রার্থী তরুণ তরুণীরা।

FOR ANY DETAILS CHECK OFFICIAL WEBSITE – CLICK HERE

Leave a comment