শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary TET) তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গ। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী দুর্নীতির জল গড়িয়েছে সকল স্তরে। একদিকে যেমন বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন হাজার হাজার প্রার্থী, অন্যদিকে তেমনি রোদে পুড়ে, জলে ভিজে নাওয়া খাওয়া ভুলে আন্দোলনে বসেছেন শিক্ষিতরা। বেআইনিভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের চাকরি! সর্বসমক্ষে জোর স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা।
WBBPE Primary TET Scam Case Update in Kolkata High Court
এমতবস্থায়, কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এমন একটি রায় ঘোষণা হল যা কার্যত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সবাই। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রায় ঘোষণা হল (Primary TET) এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার। এই মামলার রায় দিয়ে জানানো হল ২৫ হাজার ৭৫৩ জন (Primary TET) প্রার্থীর চাকরি বাতিল হবে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মেলে। আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। এর আগেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি বাতিল করেছেন বহু অযোগ্যদের। একই রকম ভাবে এদিনের রায়ের পরেও অযোগ্য প্রায় ২৬০০০ প্রার্থীর চাকরি বাতিল হলো। প্রথম থেকেই এসএসসির নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের নিয়োগে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
এপ্রিল মাসে কোন কোন চাকরির ফর্ম ফিল আপ চলছে? আবেদন করুন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক পাস যোগ্যতায়
অভিযোগ এরকম উঠেছিল যে, ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগে (Primary TET) চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা আদতে বেআইনি পথে চাকরি পেয়েছেন। টাকার বিনিময় মিলেছে চাকরি। অভিযোগ পর্যালোচনা করে আদালতে গড়িয়েছে মামলার জল। অবশেষে এদিন ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করলো কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল হবে। শুধুমাত্র চাকরি-বাতিল নয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ চাকরির সম্পূর্ণ (Primary TET) বেতন ফেরত দিতে হবে চাকরি হারাদের। বেআইনি পথে যারা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ সহ সম্পূর্ণ বেতন ফেরত দিতে হবে।
টাকা ফেরত দেওয়ার সময় এক মাস তথা চার সপ্তাহ। সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের কাছে টাকা ফেরত দিতে হবে চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থী দের। এদিন হাইকোর্টের এই রায়ের (Primary TET) পরে আশার আলো দেখছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে ক্রমাগত আন্দোলন করে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত যুবক যুবতীরা। এবার অন্তত নিয়োগ হোক।
বদল হোক তাঁদের পরিস্থিতি। সেই আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা। অনেক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডবল চাকরি হবে। কিন্তু তারা পেয়েছিলেন একটি। আর সেই একটি চাকরি (Primary TET) টাকার বিনিময় বিক্রি করে দেওয়া হল। আর তারা বসে রইলেন পথে আন্দোলন মঞ্চে।
DA বৃদ্ধির পর সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন সুখবর। অনেকদিনের দীর্ঘ দাবি পূরণ।
অন্যদিকে হাইকোর্টের রায় শুনে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের কাছে এই রায় বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট। এর আগে বেশ কিছু ওএমআর শিট আপলোড করা হয়েছে সাইটে।
বাকি শিট গুলি অতি দ্রুত আপলোড করে জনগণকে দেখার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালতের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চুপ করে বসে থাকতে নারাজ চাকরিহারারা। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের (Primary TET) রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করবেন তাঁরা।